সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী ও তৃণমূল বিএনপির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা বিএনপিতে ফিরছেন বলে গুঞ্জন উঠেছে। তবে বিষয়টি নিয়ে এখনই মুখ খুলতে নারাজ তিনি, পাছে পুলিশি হয়রানিতে পড়তে হয় যদি।
খালেদা জিয়ার সরকারের দুইবারের মন্ত্রী নাজমুল হুদা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন। ২০১০ সালে শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে টানাপোড়েন শুরু হলে, এক পর্যায়ে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। এরপরও নাজমুল হুদা বিএনপির পরিচয়েই রাজনীতিতে সক্রিয় থাকার চেষ্টা করেন।
পরে ২০১২ সালের জুনে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) নামে নতুন একটি দল গঠন করেন নাজমুল হুদা। ওই দলের কর্তৃত্ব হারানোর পর গঠন করেন তৃণমূল বিএনপি। ওই দল নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোটে যোগ দিয়ে ঢাকা-১৭ আসনে প্রার্থী হতে জোর চেষ্টা চালান। আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়নপত্রও সংগ্রহ করেন। তবে সেখানে ব্যর্থ হয়ে ফের বিএনপিতে ফিরতে চাচ্ছেন নাজমুল হুদা।
সূত্রের দাবি, প্রার্থী চূড়ান্ত করার আগমুহুর্তে আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপি যোগ দেবেন নাজমুল হুদা। তবে দলের হয়ে নির্বাচন করবেন না। তার পরিবর্তে মেয়ে অন্তরা সেলিমা হুদা ঢাকা-১ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী হতে পারেন। ইতোমধ্যে বিএনপির মনোনয়নপত্রও সংগ্রহ করেছেন তিনি।
বিএনপির একাধিক সূত্রে জানা যায়, লন্ডনে অবস্থানরত দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন নাজমুল হুদা। দলে ফেরার বিষয়ে সবুজ সংকেতও পেয়েছে। অন্যদিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সঙ্গে গতকাল সোমবার (২৬ নভেম্বর) একাধিকবার ফোরে কথা বলেছেন নাজমুল হুদা। তার সঙ্গেও ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে।
এদিকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে গত ১৮ নভেম্বর নাজমুল হুদাকে ৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেছে আদালত। এসময় নিম্ন আদালত রায়ের কপি পাওয়ার ৪৫ দিনের মধ্যে তাকে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে আত্মসমর্পণ না করলে নাজমুল হুদাকে গ্রেপ্তারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর ফলে নাজমুল হুদা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অযোগ্য হয়ে গেছেন বলে মনে করছেন আইনজীবীরা।